পদত‍্যাগ করলেন প্রেস এক্রেডিটেশান সংস্কার কমিটির সদস‍্য স্যাম জাহান

সুপ্রিয় সাংবাদিক সহকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলছি --

আপনারা হয়ত অনেকেই ইতোমধ্যে জানেন যে প্রেস এক্রেডিটেশান নীতিমালা ২০২২ এর যে পুনঃসংকলন ও সংস্কারের জন্য কমিটি গঠিত হয়েছিলো, সেখানে অন্যান্য সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের সাথে আমারও অবস্থান হয়েছিলো মূলত আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের প্রতিনিধি হিসেবে।

তিনটি মীটিং এর মাধ্যমে যে চূড়ান্ত খসড়া তৈরি করা হয়েছে, তার সাথে আমি মোটেই একমত নই। আমার প্রতিনিধিত্বের অধীনে অন্তত ৮৫ জন সাংবাদিকের মূল্যবান মতামত নিয়ে আমি আমার প্রস্তাব লিখিত আকারে পেশ করেছিলাম। যার একটিও গ্রহণ করা হয় নি।

এবং খুবই স্বল্পসময়ের সর্বশেষ মীটিং এ যথেষ্ট সময় নিয়ে এসব বিষয়ে আলোচনার সুযোগ না দিয়েই নীতিমালা ২০২৫ এর খসড়া চূড়ান্ত করে দেয়া হয়েছে।

আমার মতে, সেটা মোটেই সাংবাদিকবান্ধব হয় নি। বরঞ্চ সরকারবান্ধব হয়েছে। সেখানে সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের ডেকে নিয়ে তাদেরকে একটি হুড়োতাড়ার মধ্যে রেখে পুরো ব্যাপারটায় ন্যায্যতা প্রমাণের চেষ্টা করা হয়েছে যা দুর্ভাগ্যজনক।

এই নীতিমালা পাশ হলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিদায় নেবার পরে এটা ভয়ংকর একটা রূপধারণ করবে এবং পরবর্তী রাজনৈতিক ক্ষমতাসীন দলের অপব্যবহারের জন্য বিস্তর ফাঁকফোকর রয়ে যাবে যা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য ভীষণ সাংঘর্ষিক।

তাই, আমি এই নীতিমালার প্রতি তীব্র আপত্তি রেখে উক্ত কমিটি হতে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছি।

নীতিমালায় কি কি আছে, সেটা আমি এ মূহুর্তে বলতে অপারগ যেহেতু তা এখনো প্রকাশ হয় নি। তবে শীঘ্র সেটায় যৌক্তিক, ব্যবহারিক এবং সময়োপযোগী করে পুনঃলিখন না করলে তা চরমভাবে ব্যাকফায়ার করবে বলে আশংকা করছি।

  • স্যাম জাহান প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক, বিজেআইএম

**লিংক কমেন্টে*

সুপ্রিয় সাংবাদিক সহকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলছি --

আপনারা হয়ত অনেকেই ইতোমধ্যে জানেন যে প্রেস এক্রেডিটেশান নীতিমালা ২০২২ এর যে পুনঃসংকলন ও সংস্কারের জন্য কমিটি গঠিত হয়েছিলো, সেখানে অন্যান্য সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের সাথে আমারও অবস্থান হয়েছিলো মূলত আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের প্রতিনিধি হিসেবে।

তিনটি মীটিং এর মাধ্যমে যে চূড়ান্ত খসড়া তৈরি করা হয়েছে, তার সাথে আমি মোটেই একমত নই। আমার প্রতিনিধিত্বের অধীনে অন্তত ৮৫ জন সাংবাদিকের মূল্যবান মতামত নিয়ে আমি আমার প্রস্তাব লিখিত আকারে পেশ করেছিলাম। যার একটিও গ্রহণ করা হয় নি।

এবং খুবই স্বল্পসময়ের সর্বশেষ মীটিং এ যথেষ্ট সময় নিয়ে এসব বিষয়ে আলোচনার সুযোগ না দিয়েই নীতিমালা ২০২৫ এর খসড়া চূড়ান্ত করে দেয়া হয়েছে।

আমার মতে, সেটা মোটেই সাংবাদিকবান্ধব হয় নি। বরঞ্চ সরকারবান্ধব হয়েছে। সেখানে সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের ডেকে নিয়ে তাদেরকে একটি হুড়োতাড়ার মধ্যে রেখে পুরো ব্যাপারটায় ন্যায্যতা প্রমাণের চেষ্টা করা হয়েছে যা দুর্ভাগ্যজনক।

এই নীতিমালা পাশ হলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিদায় নেবার পরে এটা ভয়ংকর একটা রূপধারণ করবে এবং পরবর্তী রাজনৈতিক ক্ষমতাসীন দলের অপব্যবহারের জন্য বিস্তর ফাঁকফোকর রয়ে যাবে যা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য ভীষণ সাংঘর্ষিক।

তাই, আমি এই নীতিমালার প্রতি তীব্র আপত্তি রেখে উক্ত কমিটি হতে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছি।

নীতিমালায় কি কি আছে, সেটা আমি এ মূহুর্তে বলতে অপারগ যেহেতু তা এখনো প্রকাশ হয় নি। তবে শীঘ্র সেটায় যৌক্তিক, ব্যবহারিক এবং সময়োপযোগী করে পুনঃলিখন না করলে তা চরমভাবে ব্যাকফায়ার করবে বলে আশংকা করছি।

  • স্যাম জাহান প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক, বিজেআইএম

**লিংক কমেন্টে*